আবু জাহিদ বাঘারপাড়াঃ লোভে পাপ পাপে মৃত্যু” কথাটি বিশ্বাস না করার প্রতিফলনে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যায় অনেকে এমনই ঘটনা ঘটে গেল বাঘারপাড়া উপজেলার জামদিয়া ইউনিয়নের এগারোখানের ঘোড়ানাছ গ্রামে। রাতা রাতি ধন সম্পদের মালিক বুনে যাবে, গ্রামের ধনী ব্যাক্তিদের তালিকায় চলে আসার স্বপ্ন দেখিয়ে লোভ দেয় এক ভন্ড বাবা।
বাবাকে দেবতা মনে করে সেবা- যত্নের ত্রুটি করে না ভক্ত পরিবারের মানুষ। দীর্ঘদিন ধরে উপজেলার ঘোড়ানাছ গ্রামের বাবু সাগর বিশ্বাসের বাড়িতে অচেনা এক সাদু বাবার আসা যাওয়া। বিভিন্ন লোভ লালসা দেয় বাবা তাতে পরিবারের সবাই বিশ্বাসে অশক্ত হয়ে যায় বাবার প্রতি। গত ১৬ জুন সন্ধ্যার পর বাবা হাজির হয় ঐ বাড়িতে পরিবারের সবাইকে আজ চমক দেখাবে কলার প্রসাধ দিয়ে।
থলের ভিতর থেকে কলা বের টুকরা টুকরা করে এক এক টুকরো খেতে বলে। আরো বলেন কলা স্বর্গের অমৃত ফল। ভক্তির সাথে বাড়ির তিনজন দ্রুত খেয়ে নেন। বাকী একজন পরে খাবে বলে রেখে দিয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিল। এদিকে বাবার দেয়া স্বর্গের প্রসাদ খেয়ে ঐ তিনজন অচেতন হয়ে পড়েন। এই সুযোগে স্বর্ন অলংকার টাকা পয়সা মোবাইল সহ একটি বাইসাইকেল নিয়ে ভণ্ড বাবার কাজ সেরে চম্পট, আর কি বাবার দেখা মিলবে এ প্রশ্ন এখন সবার মুখে মুখে। কলা খাওয়া তিন জ্ঞানহীনরা হলো বাবু সাগর বিশ্বাস (৪০), তার সহ – ধর্মীনি সুষমা বিশ্বাস (৩৫) ও তার মা দেবলা বিশ্বাস (৮০)। সাগর বিশ্বাসের একমাত্র ছেলে শৈকত বিশ্বাস (১৪) সুস্থ রয়েছ।
সে জানায় সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখে বাবা মা দাদী ঘুমিয়ে আছে ডাকাডাকি করলেও কোন সাড়াশব্দ বা নড়াচড়াও করছে না। আশপাশের বাড়ির লোকজনও ছুটে আসেন শৈকতের চিৎকারে। আজ্ঞানের খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকার জনপ্রতিনিধি সামাজিক রাজনৈতিক ও সাধারণ মানুষের ঢল নেমে আসে সাগর বিশ্বাসের বাড়ীতে।
এবং স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক চন্দন বিশ্বাসকে খবর দিলে তিনি দ্রুত চিকিৎসার ব্যাবস্থা করেন। তিনি বলেন কলায় চেতনানাশক জাতীয় ওষুধ মিশিয়ে খাওয়ানো হয়েছে। বিষয়টি স্থানীয় ভিটাবল্যা পুলিশ ক্যাম্পে খবর দেওয়া হয়েছে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।